সাবরিনা খালেদা ও সামিয়া খালেদা দুই বোন। পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় একটি ভবনের পঞ্চম তলায় থাকতেন। বড় বোন সাবরিনা চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আর ছোট বোন সামিয়া ছিলেন এইচএসসির শিক্ষার্থী।
তাদের বাসার পাইপ লিকেজের কারণে গ্যাস জয়ে আগুনে মারা যাবেন সাবরিনা-সামিয়া পরিবারটি কখনো ভাবতেই পারেনি। কিন্তু তাই হলো। দুই বোন একে একে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে এই দুই বোনকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বড় বোন সাবরিনার শরীরের ৫৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মারা যান। বড় বোনের মৃত্যুর একদিন পরই চলে যান সামিয়াও। গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়। তার ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দুই বোনেরই শ্বাসনালী পোড়া ছিল বলে জানান চিকিৎসক।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন,গত শনিবার দুই বোনকে দগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।
তাদের বাবা মো. আলাউদ্দীন বলেন, তারা চট্টগ্রামের রাহাত্তারপুল চান্দাপুকুর পাড় এলাকায় থাকেন। সেখানে ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পাইপ লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে যায়। সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বোনের মৃত্যু হয়।